এত দিন ধরে এত বই লিখেছেন সত্যজিৎ রায়, কিন্তু সুজন হরবোলা’র মতো বই একটিও লেখেননি। এতকাল তাঁর লক্ষ্য ছিল মুখ্যত কিশোরবয়সীরা। এই প্রথম আরও অল্পবয়সীদের জন্য কলম ধরলেন তিনি। ডেকে নিলেন তাদের অপরূপ রূপকথার এক রাজ্যে। প্রমাণ করলেন যে, অন্যান্য ক্ষেত্রে তাঁর কৃতিত্ব যেমন অবিসংবাদী, বংলা শিশুসাহিত্যের গৌরবময় যে-উত্তরাধিকার তাঁর রক্তে, উত্তরাধিকারীরূপে সেই রাজ্যপাটেও তিনি তেমনই স্বচ্ছন্দ, স্বরাট, স্বমহিম ।
সুজন হরবোলায় রয়েছে চার-চারটি রূপকথার গল্প। চিরকালের রূপকথার মতোই প্রত্যেকটি আকর্ষণীয়। শুধু যা তফাৎ, সেই একঘেয়ে চেহারাটা নেই। রাজা রানী-রাজকন্যারা সবাই আছেন, তবু কোনও গল্পই এক যে ছিল রাজা’বলে শুরু হয়নি। এ-সব গল্প যাদের নিয়ে, তারা প্রত্যেকে সাধারণ ঘরের, অথচ প্রত্যেকেই খুব গুণী । কেউ ভাল গান করে, কেউ খুব নিলোভ, কেউ দৃঢ়সংকল্প, কেউবা হরবোলা। আর এদেরই অবাক-করা নানান কাণ্ড-কারখানা নিয়ে একেকটি রূপকথা ।