দৈনন্দিন প্রয়োজনে সূচনা হয়েছিল গণনার। সূত্রপাত সেই কোন এক প্রাগৈতিহাসিক যুগে। গণনার প্রারম্ভিক শুরু সীমাবদ্ধ ছিল কাঠি, নুড়ি, গিঁট বাঁধা দড়ি প্রভৃতির মধ্যে। সভ্যতার প্রথম আলোকপ্রাপ্ত বিশ্বের প্রাচীন দেশগুলিতে গণনার নিদর্শন লিপিবদ্ধ হয়ে আছে কাদার ফলক, তিরলিপি, কিউনিফর্ম, হাইঅ্যারোগ্লিফিক প্রভৃতিতে। পাহাড়ের গুহার, পুরাকালের স্তম্ভগুলির, প্রাচীন মন্দির বা অট্টালিকার দেয়ালে খোদিত আঁচড়কাটা দাগগুলি গণনার আদিম প্রচেষ্টার উদাহরণ। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো সেদিন ভারতের অবদান ছিল অপরিসীম।
সিন্ধু সভ্যতার গণনা পদ্ধতি, খরোষ্টী ও ব্রাহ্মীলিপি ভারতীয় গণনা পদ্ধতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। যজুর্বেদে, অথর্ব বেদে দশের ভিত্তিতে গণনা, দশমিক স্থানাঙ্ক পদ্ধতি প্রভৃতির উল্লেখ আছে। বিশ্বের সকল দেশ বর্তমানে সাদরে ভারতীয় পদ্ধতি গ্রহণ করেছে। যুগ যুগ ধরে বিশ্বের অগণিত বিদগ্ধজনের মননশীলতা ও অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ গণনা পদ্ধতিগুলির সংক্ষিপ্ত বিবরণ লিপিবদ্ধ অশোককুমার সিংহর ‘গোনাগুনতির কাহিনি’-তে৷