নাম রিদয়, কিন্তু ছেলেটা আসলে ছিল হৃদয়হীন। তার উপর, যাকে বলে একেবারে বিচ্ছু ছেলে। নষ্টামি করেই দিন কাটত তার। মানুষ বলো, পশুপাখি বলো, কীটপতঙ্গ বলো— সব্বাই অতিষ্ঠ তার জ্বালাতনে। একদিন সেই বিচ্ছু রিদয় লাগল গণেশঠাকুরের পিছনে। আর যাবে কোথায়! ভীষণ রেগেমেগে গণেশঠাকুর তাকে এমন অভিশাপ দিলেন যে, দেখতে-না-দেখতে বুড়ো আঙুলের মতো ভয়ানক ছোট হয়ে শেষাবধি বুড়ো আংলা যক হয়ে গেল রিদয়। হায় হায়, কী করবে এখন রিদয়?
গণেশঠাকুরের শাপে বুড়ো আংলা রিদয় তারপর যা করল আর যা দেখল— তাই নিয়েই এই কৌতূহলকর উপন্যাস, ‘বুড়ো আংলা’।গল্পের খিদে যেমন মেটায় এই কাহিনী, সেইসঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয় মাটি-মাঠ-নদী-বন-পাহাড় দিয়ে গড়া অপরূপ এক বাঙ্লাদেশের সঙ্গে। ঔপন্যাসিকের কলম, শিল্পীর তুলি আর কবির কল্পনা— এই তিনের দুর্লভ সংমিশ্রণ ঘটেছে অবনীন্দ্রনাথের এই অসামান্য সৃষ্টিকর্মে। ভিতরে পাতায় পাতায় ছবি।