কত জন মহিষী ছিল রাজা দশরথের ? তিন, নাকি তিনশ পঞ্চাশ ? অথবা সাতশ জন, যেমন লিখেছেন কৃত্তিবাস ? কেমন ছিলেন রাবণ ? যদি বলা যায়, বেদান্তশাস্ত্রে সুপণ্ডিত, বৈদিক কর্মকাণ্ডে অগ্রণী এক পুরুষ, তাহলে ? বিশ্বাস করা কঠিন। কেমন কঠিন এমন ছবি চিন্তা করা, যেখানে স্বয়ং রামচন্দ্র সীতার হাতে তুলে দিচ্ছেন মদের পানপাত্র, কিংবা বনবাসকালে খাচ্ছেন হরিণের মাংসের রোস্ট !
কথায় বলে, সাত নকলে আসল খাস্তা। বাল্মীকির রামায়ণও যেন তাই। ভারতের সব প্রদেশেই রচিত হয়েছে। একটি করে প্রাদেশিক রামায়ণ। বাল্মীকির সঙ্গে টেক্কা দিয়েও তৈরি হয়েছে আরও এক দঙ্গল সংস্কৃত রামায়ণ মহারামায়ণ, অদ্ভুত রামায়ণ, অধ্যাত্ম রামায়ণ এমন কত কী। এ-ছাড়া, প্রাদেশিক লিপিকরদের হাতে পড়েও মূল রামায়ণ হয়েছে নানাভাবে পরিবর্তিত।
সেইসব বদল থেকে মূল বাল্মীকি রামায়ণের স্বরূপটিকে ফিরিয়ে আনা বড় সহজ কাজ নয়। সেই দুঃসাধ্য কর্মেই ব্রতী নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ী। দারুণ আকর্ষণীয় তাঁর আলোচনা-ভঙ্গি, ভারি সরস তাঁর নানান মন্তব্য ও টীকা। প্রত্যেক বাঙালীর অবশ্যপাঠ্য এই আলোচনা।